Fact Check : চুরির অভিযোগে ধরা পড়া দুই যুবকের ছবি মুম্বাইয়ে “নাপিত জিহাদ” নামে একটি মনগড়া দাবি সহ শেয়ার করা হচ্ছে

নিউ দিল্লী (বিশ্বাস নিউজ)। সোশ্যাল মিডিয়ায়, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ব্যক্তির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দুই যুবকের একটি ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে মুম্বাইয়ে “নাপিত জিহাদ” এর সমস্যা সামনে এসেছে।এর সাথে পোস্টে এটাও বলা হচ্ছে যে মুম্বাইতে নাপিত বা হেয়ারড্রেসার হিসাবে কাজ করা মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকদের মসজিদে কিভাবে সংক্রমক জিনিস ব্যবহার করে হিন্দুদের সংক্রামিত করা যায় তা শেখানো হচ্ছে।

বিশ্বাস নিউজের তদন্তে দেখা গেছে যে ভাইরাল ছবিটি চুরির অভিযোগে 2013 সালে গ্রেপ্তার হওয়া যুবকদের ছিল। মুম্বই পুলিশ উভয় যুবককে চুরির ক্রেডিট কার্ডে কেনার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল। কথিত “নাপিত জিহাদ” সম্পর্কে দাবিটি তৈরি করা হয়েছে এবং সেটি মনগড়া এবং নকল।

কেন ভাইরাল করা হচ্ছে ?

ফেসবুক ইউজার রবি রাস্ট্রবাদী 1 মার্চ 2023 এ শেয়ার করেছেন। ইউজার ভাইরাল ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ব্রেকিং নিউজ… মুম্বাই নাই জিহাদ **** পুলিশের সামনে একটি স্বীকারোক্তি দেওয়া হয়েছিল যে মসজিদগুলিতে নাই জিহাদের জন্য পয়সা পাওয়া যায়। যার মধ্যে হিন্দুদের এইডস ব্লেডগুলি দিয়ে সামান্য চিরা দিতে শেখানো হয়। আরও বেশি সংখ্যক ছেলেদের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। কাছের সমস্ত হিন্দু ভাইদের বলতে হবে যে একজন হিন্দু হেয়ারড্রেসারের কাছ থেকে পরিষেবা নিন এবং কাটিং করুন। হিন্দু ভাইয়েরা সাবধান হোন .. জয় জয় শ্রী রাম
পোস্টটিকে সত্য হিসাবে গ্রহণ করে, অন্যান্য ইউজাররাও এটিকে ভাইরাল করেছেন। এর আর্কাইভ ভার্সান এখানে দেখা যাবে।

তদন্ত

ভাইরাল দাবির সত্যতা জানতে, আমরা ছবিটি মনোযোগ দিয়ে দেখেছি। আমরা দেখতে পেয়েছি যে ছবিতে ইন্ডিয়া টিভির লোগো রয়েছে। এই ভিত্তিতে, আমরা ইন্ডিয়া টিভির ওয়েবসাইটটিতে সার্চ করতে শুরু করেছি। আমরা 18 জুলাই 2013 এ ভাইরাল ফটো সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট পেয়েছি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চুরি হওয়া ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনার অভিযোগে পুলিশ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, আমরা সম্পর্কিত কীওয়ার্ড সহ গুগলে সার্চ করা শুরু করি। এই সময়ের মধ্যে আমরা ইন্ডিয়া টিভি এবং এবিপি নিউজের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ভাইরাল ছবি সম্পর্কিত একটি ভিডিও পেয়েছি। ভিডিওটি 18 জুলাই শেয়ার করা হয়েছে। প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, ছবিতে দেখা যুবকদের নাম হলেন ইরফান খান এবং সঞ্জয় যাদব। এরা বিহারের ছাপড়া জেলার বাসিন্দা। এদের মধ্যে একজন হলেন ভোজপুরী অভিনেতা। উভয়কে চুরির অভিযোগে মুম্বই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। দুজনের বিরুদ্ধেই চুরি হওয়া চেক বই এবং ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনার অভিযোগ ছিল।

আরও তথ্যের জন্য, আমরা মহারাষ্ট্র সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের সিইও জুনায়েদ সৈয়দের সাথেও যোগাযোগ করেছি। তিনি ভাইরাল দাবিটি ভুল বলে স্বীকার করেছেন।

বিশ্বাস নিউজ মুম্বাইয়ের স্বাধীন সাংবাদিক রাহুল দেব শর্মার সাথে যোগাযোগ করেছিল। তিনি ভাইরাল দাবিটি ভুল বলেছেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে ভাইরাল ছবিটি বেশ পুরানো।

বিশ্বাস নিউজ নাই জিহাদ সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করা শুরু করেছিল। আমরা দাবি সম্পর্কিত কোনও নির্ভরযোগ্য মিডিয়া রিপোর্ট পাইনি। যদি এই ধরনের কোন কেস থাকত তবে, এর সাথে সম্পর্কিত কিছু মিডিয়া রিপোর্ট উপস্থিত থাকত।

আমরা ফেসবুক ইউজার রবি রাস্ট্রবাদীর প্রোফাইল স্ক্যান করেছি যিনি জাল পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। এই অনুসারে, তিনি কানপুরের বাসিন্দা। ইউজারের ফেসবুকে 4,064 বন্ধু এবং চার হাজার ফলোয়ার রয়েছে।

উপসংহার: বিশ্বাস নিউজের তদন্তে দেখা গেছে যে ভাইরাল ছবিটি চুরির অভিযোগে ২০১৩ সালে গ্রেপ্তার যুবকদের। মুম্বই পুলিশ উভয় যুবককে চুরির ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল। কথিত “নাপিত জিহাদ” সম্পর্কে দাবিটি তৈরি করা হয়েছে এবং জাল এবং নকল।

ট্যাগ

• Barber Jihad
• Fact Check
• Mumbai