Fact Check: সৌদি আরব মসজিদের লাউডস্পিকার নিষিদ্ধ করা হয় নি, দাবিটি মিথ্যা

নিউ দিল্লী (বিশ্বাস নিউজ)। মিডল-ইস্ট সম্পর্কে ভুয়ো এবং মিথ্যা খবর প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়। এখন একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে রমজানের আগে সৌদি আরব সরকার মসজিদে লাউডস্পিকার নিষিদ্ধ করেছে এবং এখন লাউডস্পীকারে আজান হবে না। এটাকে সত্য বলে বিশ্বাস করে অনেক ইউজার তা ভাইরাল করছেন। বিশ্বাস নিউজ দাবির সত্যতা যাচাই করেছে। দাবিটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে।

বিশ্বাস নিউজ তার তদন্তে দেখেছে যে সৌদি আরব মসজিদে লাউডস্পিকার নিষিদ্ধ করেনি, তবে ভলিউম কম রাখার জন্য কয়েক মাস আগে নির্দেশিকা জারি করেছে।

ভাইরাল পোস্টে কি আছে?

13 মার্চ, 2023-এ ভাইরাল পোস্টটি শেয়ার করে, ফেসবুক ইউজার মৃত্যুঞ্জয় কুমার লিখেছেন, “সৌদি আরব মসজিদে লাউডস্পিকার নিষিদ্ধ করেছে!!”

পোস্টের আর্কাইভ ভার্সান এখানে দেখুন।

তদন্ত

যখন বিশ্বাস নিউজ ভাইরাল পোস্টের তদন্ত শুরু করে, তখন আমরা জানতে পারি যে ভারতের অনেক ওয়েবসাইটও বিভ্রান্তিকর খবরকে স্থান দিয়েছে।নিউজ 18 (আর্কাইভ), ইন্ডিয়া টিভি (আর্কাইভ) এবং  লাইভ  হিন্দুস্থান  (আর্কাইভ) এ মিথ্যা খবর পাওয়া গেছে।

ভাইরাল দাবির সত্যতা যাচাই করতে একটি গুগল ওপেন সার্চ করা হয়েছিল। 19 শে জানুয়ারি 2023 তারিখের গালফ নিউজের খবর অনুসারে, “রমজানের প্রায় দুই মাস আগে, ইসলামী বিষয়ক মন্ত্রী শেখ ডক্টর আব্দুল লতিফ বিন আব্দুল আজিজ আল শেখ বাইরের দিকে লাউডস্পিকারের সংখ্যা চারটি নির্ধারণ করেছেন, যেগুলি শুধুমাত্র মসজিদে নামাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।”

খবরে আরও বলা হয়েছে, ‘রমজানে অতিরিক্ত নামাজের জন্য লাউডস্পিকার ব্যবহার করা যাবে না বলেও জোর দেওয়া হয়েছিল এবং গত রমজানেও সব ধরনের মিডিয়ায় মসজিদ থেকে নামাজের সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।’

তদন্ত চলাকালীন, ৩ মার্চ সৌদি আরবের ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি টুইট পাওয়া যায়। এতে রমজান সংক্রান্ত গাইডলাইন্স দেওয়া হয়েছে। এখানে এর কোথাও রমজানের আগে মসজিদের লাউডস্পিকার নিষিদ্ধ করার মতো কোনো নির্দেশনা ছিল না। এতে নামাজ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মসজিদের ইমাম ইত্যাদি সংক্রান্ত গাইডলাইন্সের উল্লেখ করা হয়েছে।

রয়টার্স ওয়েবসাইটে 2021 সালের মে মাসে খবরে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, সৌদি আরবের ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে একটি সার্কুলারে বলেছে যে মসজিদে লাউডস্পিকারের পরিমাণ বর্তমানের এক-তৃতীয়াংশের বেশি হবে না। নামাজের আযানের পর স্পীকারের লাউডস্পিকার বন্ধ করে দিতে হবে এবং ধর্মোপদেশ পর্যন্ত বাজানো যাবে না।

বিশ্বাস নিউজ যাচাইয়ের জন্য সৌদি আরবের সাংবাদিক সৌদ হারবির সাথে যোগাযোগ করেছিল এবং তিনি আমাদের বলেছিলেন যে “সৌদি আরব সরকার লাউডস্পিকারের ভলিউম কমানোর নির্দেশ দিয়েছিল, নিষিদ্ধ করার দাবিটি মিথ্যা।”

যে ফেসবুক ইউজার বিভ্রান্তিকর পোস্ট শেয়ার করেছেন তার স্যোশাল স্ক্যানিংয়ে আমরা দেখতে পেয়েছি যে ইউজারকে 23,000 জন লোক অনুসরণ করেন।

উপসংহার: বিশ্ব নিউজ তার তদন্তে দেখেছে যে সৌদি আরব রমজানের সময় মসজিদে লাউডস্পিকার নিষিদ্ধ করার জন্য কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি, বরং ভলিউম কম রাখার জন্য কয়েক মাস আগে গাইডলাইন্স জারি করা হয়েছিল।

ট্যাগ

• Fact Check
• Loudspeaker
• Saudi Arab